পাপুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২১ এপ্রিল
ফাইল ছবি

পাপুলের আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট ও উপ-নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করে জারি করা গেজেট ও উপ-নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।

সোমবার (৭ জুন) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী মঙ্গলবার (৮ জুন) দিন রেখেছেন।

তার বোন নুরুন্নাহার বেগম ও তার নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবক শাহাদাত হোসেন রিট করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কুয়েতে পাপুলের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের শুরুতে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ ওঠে। পরে ওই মামলায় তিনি কুয়েতে গ্রেফতার হন।

গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের আদালত পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার জরিমানা করা হয়।

২২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান একটি গেজেট জারি করে। ওই গেজেটে বলা হয়, কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের গত ২৮ জানুয়ারি ঘোষিত রায়ে নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য নন। সেই কারণে সংবিধানের ৬৭(১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি থেকে তার আসন শূন্য হয়েছে।

এরপর ৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন ওই আসনে ১১ এপ্রিল উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে আগামী ২১ জুন নির্ধারণ করা হয়।