টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সরকারের বন বিভাগ। দেশীয় টিয়া পাখি খাঁচায় আটকে রেখে বিজ্ঞাপন নির্মাণের অভিযোগে বুধবার (৩০ জুন) প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে করেছেন মামলার বাদি ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা।
তিনি বলেন, বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২’১র ৩৮(২), ৪১ ও ৪৬ নম্বর ধারায় গ্রামীনফোনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে গ্রামীণফোনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নার্গিস সুলতানা বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই জানেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য একটি আইন রয়েছে। তাই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে সুযোগ দেওয়া বা সাবধান করার কোন ভিত্তি আছে বলে আমরা মনে করিনা। আমাদের চোখে এটা অপরাধ মনে হয়েছে তাই আমরা মামলা করেছি।
এই বিষয়ে গ্রামীনফোনের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ এক্সটারনাল কমিউনিকেশন মো. হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, সামাজিক মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারিত আমাদের একটি বিজ্ঞাপণচিত্রে দেশীয় পাখির প্রদর্শন সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত হয়েছে। বিজ্ঞাপণচিত্রটি বহুলাংশে প্রশংসিত হলেও কিছু দর্শক ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। গ্রামীণফোন সবধরনের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় বর্তমানে বিজ্ঞাপনটি আর প্রচারিত হচ্ছে না। সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে গ্রামীণফোন এ সংক্রান্ত একটি মামলার বিষয়ে জানতে পেরেছে। উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র হাতে পেলে আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবো।
প্রসঙ্গত, বিজ্ঞাপনে শুরুতেই দেখানো হয় বাবা চরিত্রের একজন তার মেয়ের জন্য খাচাবন্দী একটি টিয়া পাখি নিয়ে আসেন। তার মেয়ের আগেই একটি পোষা কুকুর ছিলো, যার সাথে মেয়েটির খুব সুসম্পর্ক ছিলো। কিন্তু পাখিটিকে নিয়ে আসায় কুকুরটির তা পছন্দ হয় না এবং দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। এই দেখে মেয়েটি পাখি এবং কুকুরের মাঝে যে দ্বন্দ্ব ছিলো তা মেটানোর জন্য নিজেদের মধ্যে কথা বলে সমাধান করে নিতে বলে। আর এই কথা বলে সম্পর্কন্নোয়নকে কেন্দ্র করেই ট্যারিফ নির্ধারণ করে গ্রামীনফোন তাদের বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছে।