দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী ও রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল’ এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের (রুলা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটনের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল’ এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের (রুলার) উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী, রুলার সভাপতি নাহিদ সুলতানা যুথি, সাবেক সভাপতি রবিউল আলম বুদু, আইনজীবী নেতা আব্দুল আলিম জুয়েল।
মানববন্ধনে বক্তারা সহকর্মীর উপর এমন ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
উল্লেখ্য, বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটনসহ চারজন সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হন। গত বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ রোডের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) পৌর নির্বাচনের দিন একটি ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহিদুল বারী খান রব্বানীর দুই সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পরের দিন বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সোনাতলা রেল স্টেশন রোডে সেই দুই সমর্থকের মুখোমুখি দেখা হলে আবারও কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একই সময় পাশের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে চা পান করছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটনসহ স্থানীয় লোকজন। এ সময় সেখানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিপক্ষের বেধড়ক মারপিট ও ছুরিকাঘাতে আহত হন পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান জিতু (৩৫)। এ সময় এগিয়ে গেলে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভাকেট মিনহাদুজ্জামান লীটন (৫৩)।
একই সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুর রশীদ সোহেল (৪৩) ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উৎপল কর্মকার (৩৫)। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।