ইভ্যালির প্রকৃত পাওনাদাররা অর্থ ফেরত পেতে পারেন: হাইকোর্ট
উচ্চ আদালত এবং ইভ্যালি

ইভ্যালিতে আটকে থাকা টাকা ফেরত পেতে ৩৯ গ্রাহকের রিট

বিকাশ ও নগদে পেমেন্ট করে অর্ডার করা পণ্য হাতে না পাওয়া ৩৯ জন গ্রাহক ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে আটকে থাকা টাকা ফেরতের (রিফান্ড) নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৩৯ গ্রাহকের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার মো. আশফাকুর রহমান। রিটে অর্থ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের মহাব্যবস্থাপকসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে মো. আশফাকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রিটে বিকাশ ও নগদে আটকে থাকা ইভ্যালিসহ ই-কমার্স গ্রাহকদের অগ্রিম টাকা ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান জানান, রিটকারী ৩৯ জন গ্রাহক গত সেপ্টেম্বর মাসে ইভ্যালিতে (বিকাশ ও নগদের) দুটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে দুই কোটি সাত লাখ টাকা পরিশোধ করে পণ্যের অর্ডার করেন। কিন্তু তারা এখনো পণ্য হাতে পাননি। এমনকি পেমেন্ট করা টাকাও ফেরত পাননি। ইভ্যালিতে অর্ডার করা এ ৩৯ গ্রাহকের টাকা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের গেটওয়েতে আটকা পড়েছে।

এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী, ১০ দিনের মধ্যে পণ্য না দিলে অর্থ ফেরত দিতে হবে। তাই অর্থ ফেরতে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।