রতন কুমার রায়
অ্যাডভোকেট রতন কুমার রায়

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল: প্রাসঙ্গিক ভাবনা ও প্রত্যাশা

রতন কুমার রায়: আইন পেশা একটি মহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ পেশা (Noble and dignified profession)। পৃথিবীর সব দেশেই আইন পেশা (Legal Profession) একটি মহৎ পেশা (Noble Profession) হিসেবে পরিচিত। তার অন্যতম কারণ হলো আইন ও বিভিন্ন বিধি-বিধান সমাজে শান্তি, শৃংখলা, স্থিতিশীলতা ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ করে। আইনজীবীরা এই আইন ও বিধি-বিধানের রক্ষক ও প্রতিপালক (Keepers and protectors)। আইনজীবীরা মহৎ কারণে (Noble causes) সাধারণ নাগরিকদের জন্য কাজ করেন। আইন পেশার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ন্যায়শাসন (Administration of justice) প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা এবং আইন-সভা (Legislature) ও জনগণের (Common People) মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

পৃথিবীর সকল দেশেই আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান (Peak body) থাকে। যার নাম বার কাউন্সিল বা বার এসোসিয়েশন বা ‘ল’ কাউন্সিল বা জেনারেল কাউন্সিল অব দি বার ইত্যাদি। বার কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট দেশের পার্লামেন্ট কর্তৃক বা সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রনীত আইন বা আদেশ বা বিধানের আলোকে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান, যা একটি আইনসৃষ্ট সংস্থা (body corporate)।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল The Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 -এর অধীনে আইনজীবীদের একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান (Peak body)। যা একটি body corporate. বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবীদের আইন পেশা পরিচালনা করার জন্য সনদ প্রদান, আইনজীবীদের পেশাগত মান-মর্যাদা, দক্ষতা ও শৃংখলা, কল্যাণ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পরামর্শ ক্রমে প্রদেয় আইন শিক্ষার মান সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে। The Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 ২ এর Article 10 এর সংশ্লিষ্ট Clause নিম্মে উদ্ধৃত করা হলো-

Article 10
The Functions of the Bar Council shall be-
(a) to admit persons as advocates on its roll, to hold examinations for purposes of admission, and to remove advocates from such roll;
(c) to lay down standard of professional conduct and etiquette for advocates;
(e) to safeguard the rights, privileges and interests of advocates on its roll;
(i) to promote legal education and to lay down the standard of such education in consultation with the universities in Bangladesh imparting such education.

এই লেখায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অষ্ট্রেলিয়ান বার কাউন্সিল এর Functions & Powers এর মধ্যে তুলনামূলক পর্যালোচনা করে প্রথম পর্বে আইন শিক্ষার মান সংরক্ষণ এবং দেশের ন্যায়শাসন, আইন প্রণয়ন ও বিদ্যমান আইন সম্পর্কে বার কাউন্সিলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। দ্বিতীয় পর্বে আইনজীবীদের পেশাগত প্রশিক্ষণ, কল্যাণ, উন্নয়ন, আইনজীবীর সংখ্যাধিক্য ও সমাধান, diversification, digitalization & specialization of profession সংক্রান্তে আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

The Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order 1972 -এর Article 10(i) অনুযায়ী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদেয় ‘Law degree’ এর মান সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে বার কাউন্সিলের ক্ষমতা প্রায় সীমিত। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ ক্ষেত্রমত নিজেদের bye-laws ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অথচ অনেক দেশে বার কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শিক্ষার মান প্রত্যক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। বার কাউন্সিলের Recognition ব্যতীত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের Law degree গ্রহণযোগ্য হয় না তথা Law degree প্রাপ্তদের এডভোকেট হিসেবে সনদ প্রদানের জন্য বিবেচনা করা হয় না। আইন শিক্ষার মান সংরক্ষণে বার কাউন্সিল নিয়মিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ পরিদর্শন করে। কিন্তু বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর ক্ষমতা ও অধিক্ষেত্র এ ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভাবে সীমিত।

আইন শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি মান সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখা না যায় আইন পেশার মান সংরক্ষণের প্রয়াস অর্থহীন হতে বাধ্য। অপর দিকে এর দায় ক্ষেত্র বিশেষে আইনের ডিক্রী প্রাপ্ত তরুন প্রজম্মের উপর চাপানো কতটুকু যুক্তিসংগত ভেবে দেখার সময় এসেছে। ফলশ্রুতিতে বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের হতাশার ব্যাপক চিত্র শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও মানব সম্পদ উন্নয়নের সূচকে জাতীয় ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি করছে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বার কাউন্সিল জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ন্যায় শাসন (Administration of Justice) প্রতিষ্ঠায়, Legal system উন্নয়নে, আইন প্রণয়ন ও বিদ্যমান আইন সম্পর্কে আইন সভা এবং সরকারকে পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতামূলক ভূমিকা রেখে চলেছে। The Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 অনুযায়ী বার কাউন্সিলের উপর উল্লেখিত বিষয়ে কোনরূপ অধিকার অর্পিত হয়নি। বার কাউন্সিলের মাধ্যমে দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীদের অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ যে কোন আইন প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ক্ষেত্রে Law Academician ব্যক্তিদেরকেও অন্তর্ভূক্ত করা উচিত।

সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশ আইন কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত বহুমাত্রিক ভুল-ত্রুটিতে পরিপূর্ণ ভূমি আইনের খসড়া পর্যালোচনা করলে সহজেই এই ক্ষেত্রে বার কাউন্সিলকে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়। আইন শিক্ষা এবং ন্যায় শাসন, Legal System উন্নয়ন, আইন প্রণয়ণ ও বিদ্যমান আইন সম্পর্কে বার কাউন্সিলের সম্পৃক্ততাসহ ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অষ্ট্রেলিয়ার বার কাউন্সিলের Functions and Powers বিবেচনার নিমিত্তে উপস্থাপিত হলো।

ভারত যেহেতু একটি Federal Country, সেহেতু প্রত্যেক রাজ্যে State Bar Council ও কেন্দ্রীয় ভাবে Bar Council of India আছে। যা The Advocates Act, 1961 অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত ও নিয়ন্ত্রিত। উক্ত আইনের ৭ ধারায় উল্লেখিত সংশ্লিষ্ট অংশটুকু নিম্নে উদ্ধৃত করা হলো।

The Advocates Act, 1961
Section: 7 Functions of Bar Council of India
(d) to safeguard the rights, privileges and interests of advocates;
(e) to promote and support law reform;
(h) to promote legal education and to lay down standards of such education in consultation with the universities in India imparting such education and the State Bar Councils;
(i) to recognise universities whose degree in law shall be a qualification for enrolment as an advocate and for that propose to visit and inspect Universities [or cause the State Bar Councils to visit and inspect Universities in accordance with such directions as it may give in this behalf]

যুক্তরাজ্যের বার কাউন্সিল The General Council of the Bar of England and Wales হিসেবে পরিচিত। General Council of the Bar এর Section 1(c) অনুযায়ী Functions and Powers of the Bar Council নিম্নরূপ:

Section 1(c): To maintain the standards, honour and independence of the Bar, to promote, preserve and improve the services and functions of the Bar, and to represent and act for the Bar generally as well as in its relation with others and also in matters affecting the administration of justice.

যুক্তরাজ্যের বার কাউন্সিলের মূল ভূমিকা নিম্নরূপ:

The Bar Council represents barristers and acts as a voice for the profession on an increasing number of issues, including the administration of justice and relations with Government, the European Union, Legal Professions in other countries and other organizations with common interests.

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বার এসোসিয়েশন হলো American Bar Association (ABA)। যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। তাদের Functions নিম্নরূপ:

The American Bar Association (ABA) is the largest voluntary professional association in the world with more than 4,00,000 members, the ABA provides law school accreditation, continuing legal education, information about the law, programs to assist lawyers and judges in their works, and initiatives to improve the legal system for the public.

অষ্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় বার কাউন্সিল হলো The Law Council of Australia. যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬৫,০০০ হাজার। এছাড়াও রয়েছে Australian Bar Association (ABA). যার সদস্য সংখ্যা ৬,০০০ হাজার ব্যারিষ্টার। The Law Council of Australia এর Function নিচে তুলে ধরা হলো।

The Law Council of Australia represents the legal profession at the national level. It speaks on behalf of its constituent bodies on national issues, and to promote the administration of justice, access to justice and general improvement of the law. The law council advises governments, courts and federal agencies on ways in which the law and the justice system can be improved for the benefit of the community. The Law Council also represents the Australian legal profession overseas, and maintains close relationships with legal profession bodies throughout the world. The Law Council of Australia speaks on issues of national and international importance, as well as federal law and the operation of federal courts and tribunals.

জনগণের (Common people) এর স্বার্থে বিদ্যমান আইন সংশোধন করে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এর ক্ষমতা, সক্ষমতা ও এখতিয়ার বিস্তৃত করে ন্যায় শাসন, আইন প্রণয়ন ও বিদ্যমান আইন সম্পর্কে পরামর্শ প্রদানের মর্যাদাপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তালিকাভূক্ত আইনজীবীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার এবং পর্যায় ক্রমে এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে উদ্বিগ্ন না হয়ে সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবীর সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ এবং জনসংখ্যা আমাদের দ্বিগুন অর্থাৎ ৩৩,১৪,৪৯,২৮১ জন (এপ্রিল ২৬, ২০২১ পর্যন্ত)। অষ্ট্রেলিয়ায় আইনজীবীর সংখ্যা প্রায় ৭১ হাজার। অথচ জনসংখ্যা মাত্র ২,৫৮,০২,০০৩ জন (জুলাই ১১, ২০২১ পর্যন্ত)। যুক্তরাজ্যে আইনজীবীর সংখ্যা প্রায় (ব্যারিষ্টার ১৬,৪৩৫ + সলিসিটর ১,৯৫,৮২১) ২,১২,২৫৬ জন এবং জনসংখ্যা মাত্র ৬,৮২,৫০, ৬৮২ জন (জুলাই ১১, ২০২১ পর্যন্ত)। ভারতে জনসংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটি এবং আইনজীবীর সংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষ। এসব দেশের আইনজীবীরা কেউ কিন্তু কর্মহীন অবস্থায় বসে নেই।

কারণ সেখানে আইন পেশায় বৈচিত্র ও বিশেষায়িতকরণ (diversification and specialization) করা হয়েছে। কেউ কেউ আদালতে practice করছেন। আবার আদালতে practice এর ক্ষেত্রেও ভিন্ন ভিন্ন বিশেষায়িত রূপ আছে। কেউ কেউ consultancy করছেন। কেউ কেউ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আইন কর্মকর্তা বা আইন উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। কেউ কেউ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (ADR) ও Arbitration এর সাথে সংযুক্ত আছেন। এক্ষেত্রে বার কাউন্সিল Special training দেয়ার পাশাপাশি Legal profession system কে সেভাবে সুবিন্যস্ত করে চলেছে। বর্তমান Digitalization এর যুগে আইনজীবীরা নিজেদের well equipped করে নিয়েছেন। সেসব দেশের জনগণও যে কোন ব্যবসা-বাণিজ্য, চুক্তি সব কিছুতে আইনী পরামর্শ ছাড়া অগ্রসর হন না। আমাদের বার কাউন্সিলকে এ ক্ষেত্রে মনযোগ দেয়ার বিকল্প নেই।

পূর্বে চালু থাকা Legal Training চালু করার পাশাপাশি Special Training, ADR এর Training, E-judiciary Training চালু করতে হবে। Local Bar ও Supreme Court Bar -কেও এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। বার কাউন্সিল ও সংশ্লিষ্ট Local Bar -কে আইন কর্মকর্তা/ আইন উপদেষ্টা নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা ও বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানকে উদ্বুদ্ধ করাসহ সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। এতে করে অধিক সংখ্যক আইনজীবী পেশায় বোঝা না হয়ে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত হবে ও আইন পেশায় অবদান রাখতে সক্ষমতা অর্জন করবেন এবং কর্মসংস্থান সম্প্রসারিত হবে।

বার কাউন্সিল দেশের আইনজীবীদের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এবং বার কাউন্সিল নেতৃবৃন্দ আইনজীবীদের অভিভাবক। সর্বক্ষেত্রে তাদের অভিভাবকসুলভ সাহসী ভূমিকা আইনজীবীদের মনোবল বাড়িয়ে দেয়। এটি অনস্বীকার্য যে, করোনা মহামারীর চরম মুহুর্তে আইনজীবীরা আর্থিক সংকট ছাড়াও মনস্তাত্ত্বিকভাবে বেশ নিঃস্বতা অনুভব করেছে। আসলে সংকট কালে অন্তত একটু সাহস ও সমবেদনা মনোবল অক্ষুন্ন রাখতে ব্যাপক সাহায্য করে। তবে আদালতের কার্যক্রম চালু করে পরিস্থিতিকে কিছুটা স্বাভাবিক করতে বার কাউন্সিলের সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। বিভিন্ন দেশে ভাতা দেয়ার প্রচলন থাকলেও আমাদের দেশে আইনজীবী ভাতার প্রচলন নেই, যা দুঃখজনক। অপর দিকে বার কাউন্সিলের আর্থিক খাত পর্যাপ্ত নয়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় কিছু করা সম্ভব হয়ে উঠে না। বহুমুখী আয় বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ ও সরকারী অনুদান প্রাপ্তি নিশ্চিত করে বার কাউন্সিলকে আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধ না করলে বিগত দিনের ন্যায় সংকট কালীন আইনজীবীদের সহযোগিতা করা দুরূহ হয়ে পড়বে।

The Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 এর ব্যাপক সংশোধনী এনে উল্লেখিত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ও আমাদের বার কাউন্সিলের body corporate চরিত্রকে সমুন্নত করে বার কাউন্সিলকে আরো শক্তিশালী করতেই হবে। ব্যাপক ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও পেশার বহুমুখী সুবিধা সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখা, বহু মাত্রিক আয় বর্ধক প্রকল্প সৃষ্টি করে আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি, আইনজীবী সুরক্ষা আইন প্রণয়ণ বা The Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order -এ আইনজীবী সুরক্ষা ব্যবস্থা সংযোজন, জনগণের স্বার্থে ন্যায় শাসন এবং আইন প্রণয়ণ ও বিদ্যমান আইন সম্পর্কে পরামর্শ প্রদানের মর্যাদাপূর্ণ এখতিয়ার অর্জন এবং বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের আইন শিক্ষার মান সংরক্ষণে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।

সর্বোপরি দেশের প্রায় ৬০ হাজার আইনজীবী যাতে আস্থার সাথে সগৌরবে মাথা উঁচু করে বলতে পারেন যে, আমাদের একটি যোগ্য, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান (Peak body) আছে এবং যোগ্যতা, মানবিকতা, মমতা, উদারতা, সার্বিক সহযোগিতা ও সাহসিকতা দিয়ে আমাদের সম্মানিত অভিভাবকদের সে আস্থার জায়গাটুকু সংরক্ষণ ও সমুন্নত রাখতে হবে।

লেখক: এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট; সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।