দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) -এর দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। পাশপাশি অর্থ দণ্ড স্থগিত করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হন তিনি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা মামলা থানায় দায়ের করা হয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম মামলাটি করেন। দুদকের উপসহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা তদন্ত শেষে একই বছরের ১৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন।
তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুইটিতে এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপন করার কথা উল্লেখ করা হয়।
মামলায় গত ১২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম পৃথক ধারায় ৫ ও ৩ বছরের দণ্ড দেন। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। পরে এর বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তিনি।