দুই আইনজীবীর রিমান্ড: অধস্তন আদালতের নথি তলব করলেন হাইকোর্ট
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

হত্যা মামলায় সাক্ষ্য না দেয়া ১৯ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

ভাওয়ালের শালবনে নিয়ে ছিন্নমূল শিশুকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাক্ষ্য দিতে না আসায় ১৯ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালত মন্তব্য করেন, ‘এই মামলায় ন্যায় বিচার ভূ-লুন্ঠিত (miscarriage of justice occurred) হয়েছে।’

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির, নোয়াব আলী ও আসাদ উদ্দিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

আইনজীবী শিশির মনির জানান, আদালত দুই জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে কেন পুলিশরা সাক্ষ্য দিতে এলো না সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকার শাজাহানপুর ওভারব্রিজের নিচ থেকে স্থানীয় জনগণ একটি ব্যাগসহ শংকর ও জাকিরকে আটক করে। তাদের ব্যাগে পাওয়া যায় একটি বালকের কাটা মাথা। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

২০১৬ সালের মার্চে মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে মো. রাজিব ওরফে গোলাম রব্বানি ওরফে শংকর চন্দ্র দেবনাথ এবং মো. জাকির হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিচারিক আদালত। এরপর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি আসে হাইকোর্টে।