চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, সিরাজগঞ্জ
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, সিরাজগঞ্জ

৯ দিন পর কেটেছে সিরাজগঞ্জ আদালতের অচলাবস্থা

সিরাজগঞ্জে বিচারক-আইনজীবী ও কর্মচারীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সমঝোতা বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনার পর আদালত বর্জন প্রত্যাহার কর্মসূচি করে নিয়েছেন আইনজীবীরা। টানা ৯ দিন পর আজ সকাল থেকে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে আদালতপাড়ায়।

আজ মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ পান্না গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আইনজীবী এবং আদালতের এক কর্মচারীর মধ্যে সংগঠিত একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সমাধান করতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক, আইনজীবী ও কর্মচারীদের মধ্যে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনায় আইনজীবীদের আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের সিদ্বান্ত অনুযায়ী আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীর দায়ের করা পৃথক দুটি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এবং অভিযুক্ত স্টোনোগ্রাফার ইউসুফ আলীকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হবে।

সমঝোতা বৈঠকে জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ উভয় আদালতের সকল বিচারক, আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পিপি, জিপিসহ সিনিয়র আইনজীবী ও উভয় আদালতের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলী ও আইনজীবী আবুল কালামের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীরা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ-মিছিল করে।

এছাড়া মারপিটের অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনজীবী ও স্টোনোগ্রাফারের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।

এরপর গত ১৬ জানুয়ারি স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলীকে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করে আদালত বর্জন করে প্রতিবাদ জানায় আইনজীবিরা। এক পর্যায়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ও দায়রা জজের বদলিও দাবি করেন আইনজীবীরা।

এ অবস্থায় আদালতে চরম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী।