সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা (ফাইল ছবি)

প্লট দুর্নীতি: সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩ এপ্রিল

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দিয়েছেন।

দুদকের আদালত নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মো. জুলফিকার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল আজ। তবে দুদক প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১–এ মামলাটি করেন। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে নিজের ভাই ও আত্মীয়ের নামে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করে তা স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় নিজের নামে একটি প্লট বরাদ্দ নেন। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামেও রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ করান।

এরপর তিনি প্রভাব খাটিয়ে তিন কাঠার প্লটটি পাঁচ কাঠায় উন্নীত করান। এ পর্যায়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচলের প্লটটিকে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কে (বাড়ি নম্বর ১/এ) স্থানান্তর করিয়ে রাজউকের অনুমোদন করান। বরাদ্দপ্রাপ্তির পর সিনহা প্লটটি তাঁর আত্মীয় জনৈক শংখজিৎ সিংহকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়োগ করেন।

এ অপরাধে দুদকের ২০০৪–এর ২৭ (১) ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২–এর ৪ (২), (৩) ধারায় মামলা করে দুদক।

উল্লেখ্য, গত বছর ৯ নভেম্বর চার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় পৃথক দুই ধারায় এসকে সিনহাকে ১১ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত ঢাকার একটি আদালত।