গণমাধ্যমের মুখোমুখি রিটকারী আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল
গণমাধ্যমের মুখোমুখি রিটকারী আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: নথি গায়েবের ঘটনায় রিট

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার নথি গায়েব হওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে এ ঘটনায় কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেইসাথে মামলার বিচার দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া রাসেল এই রিট দায়ের করেন। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

রিটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হারুন। তিনি জানান, ‘এ রকম চাঞ্চল্যকর ঘটনার এত দিন পরও বিচার না হওয়া দুঃখজনক। মনে হয় এর পেছনে একটি চক্র রয়েছে। আমরা চাই, এই চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।’

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি মামলাটির নথি গায়েবের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইয়া। নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।

নায়ক খুনের মামলা গুম

গত ২৩ জানুয়ারি একটি গণমাধ্যমে ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।

এরপর মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। সেই মামলার নথিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।