‘বঙ্গবন্ধুর আইনি লড়াই ১৯৩৮-১৯৬৩’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
‘বঙ্গবন্ধুর আইনি লড়াই ১৯৩৮-১৯৬৩’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি লড়াই ১৯৩৮-১৯৬৩’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বইটি লিখেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মশিউর রহমান।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমরা জানি বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনে বহুদিন জেল খেটেছেন। বাঙালি জাতির জন্য ত্যাগ তীতিক্ষা পার করে বাঙালিকে স্বাধীন করেছেন। সে কারণেই তাঁকে আমরা জাতির পিতা বলি। তিনি বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নামে এবং নেতৃত্বে যুদ্ধে বাঙালি বিজয় লাভ করেছিল। তাঁর সেই অবদানের কারণেই আমরা আজ স্বাধীন দেশে বসবাস করতে পারছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যে বইটির মোড়ক উন্মোচিত হলো সেই বইয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের আইনি লড়াইয়ের বিষয়টি উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধু কোন কোন মামলায় আসামি ছিলেন এবং নিজে কোন কোন মামলা করেছিলেন, সবই এখানে আছে। সুশৃঙ্খলভাবে সেসব বিষয় বইটিতে সাজানো রয়েছে। যা প্রামান্য দলিল হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি। বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। সেক্ষেত্রে এই বইটি সহযোগী হবে বলে আমি মনে করি।’

এসময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদানের বিষয়টি উল্লেখ করে তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, আব্দুন নুর দুলাল, রবিউল আলম বুদু, মোতাহার হেসেন সাজু, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী, ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. ইকবাল কবির প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সহসম্পাদক ব্যারিস্টার সাফায়েত সুলতানা রুমি, সমিতির সাবেক কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল, অ্যাডভোকেট শাবুদ্দিন খান লার্জসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।