সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আহমেদ সোহেল
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আহমেদ সোহেল

মেডিয়েশন পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি হলে কোনো পক্ষ হারে না: বিচারপতি আহমেদ সোহেল

মামলাজট নিরসনে মেডিয়েশন পদ্ধতি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা উচিত বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেছেন, মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মেডিয়েশন একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে দ্রুত ও কম সময়ে মামলা নিষ্পত্তি করা যায়। মেডিয়েশনের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি হলে কোনো পক্ষ হারে না। উভয়পক্ষের মধ্যে উইন-উইন সিচুয়েশন বিরাজ করে।

আজ শনিবার (৫ মার্চ) ভোলা জেলার বিচারক ও প্যানেল মেডিয়েটরদের ৪০ ঘণ্টাব্যাপী ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ কর্মশালার তৃতীয় দিনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে।

বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগে ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দিনের পর দিন মামলাজট বেড়ে চলছে। আমি বিশ্বাস করি মামলাজট নিরসনের জন্য মেডিয়েশন সর্বোত্তম পদ্ধতি হতে পারে।

তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থায় মেডিয়েশন পদ্ধতি প্রয়োগ করে পশ্চিমা বিশ্বসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো সফলতা পেয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৪০ হাজার মেডিয়েশন সেন্টার রয়েছে।

মেডিয়েশনের জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উচ্চ আদালতের এই বিচারক বলেন, উন্নত বিশ্বের আদলে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন একাডেমি স্থাপন করা উচিত। এর অধীনে সারা দেশে মেডিয়েশন সেন্টার স্থাপন করলে মামলাজট নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

মেডিয়েশন পদ্ধতিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলতে গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা বাড়ানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি সোহেল।

অ্যাক্রিডিটেড মেডিয়েটর পংকজ কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালার তৃতীয় দিনে বিমসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এন গোস্বামীসহ দেশের ও আন্তর্জাতিক মেডিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।

ভোলার ১৯ জন বিচারক ও ২০ জন প্যানেল মেডিয়েটর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী।