কাজাখস্তানের নাগরিক ভালাদিমির শাভেটস (ইনসেটে)

রূপপুরে কাজাখস্তানের নাগরিক হত্যা: বেলারুশের ৩ নাগরিক কারাগারে

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত কাজাখস্তানের নাগরিক ভালাদিমির শাভেটস (৫২) খুনের ঘটনায় বেলারুশের তিন নাগরিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভালাদিমির শাভেটস হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই তিনজন হলেন আরবানভিচুস ভিটালি (৪৪), ফেদারোভিচ হেনাডজ (৪২) ও মাতসভেইউ উলাদজিমির (৪৩)। তাঁরা তিনজনই বেলারুশের নাগরিক ও রূপপুর প্রকল্পে ‘রোসেম’ নামে একটি রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।

গতকাল রোববার রাতে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিকিম এটমস্ট্রয় কোম্পানির বাংলাদেশ শাখা পরিচালক আইউরি ফেডোরভ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে এ মামলা করেন।

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আবাসিক এলাকা গ্রিন সিটিতে ভালাদিমির শাভেটসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতে তিন বেলারুশের তিন নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, মামলায় বেলারুশের তিন নাগরিককে আসামি করা হয়েছে। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকাজ চলছে।

এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রায়হান পারভেজ বলেন, গতকাল দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ভালাদিমিরের লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পরে লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গের হিমঘরে রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, কাজাখস্তানের নাগরিক ভালাদিমির ও তাঁর ভাই বেরেজনয় অ্যান্ডে নির্মাণাধীন প্রকল্পের আবাসিক এলাকা গ্রিনসিটিতে থাকতেন। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রিন সিটির ৬ নম্বর বিল্ডিংয়ের ১০ তলার ১০৬ নম্বর কক্ষে ভালাদিমির শভেটসের সঙ্গে বেলারুশের তিনজনের ঝামেলা হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় কাজাখস্তানের আরেক নাগরিক সেখানে উপস্থিত হন। শাভেটস ও অ্যান্ডেকে কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই ভালাদিমির শাভেটস মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ অ্যান্ডেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠায়।