কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসা দিয়ে অপারেশন থিয়েটারে রোগী রেখে ডাক্তারের পলায়ন, আদালতে মামলা
আদালত (প্রতীকী ছবি)

মিথ্যা মামলা করায় বাদীর জেল-জরিমানা

পূর্ব বিরোধের জের ধরে মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনার সাজিয়ে মামলা দায়ের করায় বাদী এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে হবিগঞ্জের একটি আদালত। পাশাপাশি তাকে ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) হবিগঞ্জের ২ নং আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম মোঃ তাজুল ইসলাম (৩২)। তিনি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মৃত বাবুল আলীর ছেলে।

মামলার নথি পর্যালোচনায় জানা যায়, অভিযোগকারী দীর্ঘদিন যাবৎ আদালতে অনুপস্থিত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুনারুঘাট থানার উপপরিদর্শক এসআই আব্দুল মোতালেব তার দাখিলকৃত প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন, এই মামলার অভিযোগকারী মোঃ তাজুল ইসলামের মামলার আসামীদের সাথে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ফলে উক্ত মামলার আসামীদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক ও বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার তদন্তে সমর্থনে ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মামলার অভিযোগ পর্যালোচনায় আরও জানা যায়, অভিযোগকারী জমি ক্রয় করার জন্য ৩ লাখ টাকা প্রদান করার দাবি করলেও মামলার সাথে প্রমাণ হিসাবে কোন কাগজপত্র দাখিল করেন নাই। সম্পূর্ণ মৌখিক বক্তব্যের ভিত্তিতে আসামীদেরকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনার সাজিয়ে এই মামলা দায়ের করেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।

এরপর আদালত অভিযোগকারী তাজুল ইসলামকে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না মর্মে ব্যাখ্যা তলব করেন আদালত। পাশাপাশি আদেশে তাজুল ইসলামকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়। আদালতের আদেশের কপি বিষয়টি তাজুলের আইনজীবী মোঃ মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু তাজুল কোন পদক্ষেপ ছাড়াই আদালতে অনুপস্থিত থাকেন।

এমতাবস্থায় আদালত তাজুল ইসলামকে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ও (৫) ধারায় দোষীসাব্যস্ত করে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে অনুপস্থিত অভিযোগকারী দন্ডিতের প্রতি সাজা পরোয়ানা জারি করেন।