জামাতুদ দাওয়া (জেইউডি) প্রধান হাফিজ মুহাম্মদ সাইদ
জামাতুদ দাওয়া (জেইউডি) প্রধান হাফিজ মুহাম্মদ সাইদ

হাফিজ সাইদের ৩৩ বছরের কারাদণ্ড

সন্ত্রাসে অর্থায়নের দুই মামলায় জামাতুদ দাওয়া (জেইউডি) প্রধান হাফিজ মুহাম্মদ সাইদকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) শুক্রবার এ রায় দেয়।

দ্য ডনের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯৭ সালে প্রণীত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বিচারক এজাজ আহমেদ বাট্টা এ রায় দেন।

একটি মামলায় ধারা ১১-এইচ (২), ১১-আই, ১১-জে (২)-এর আওতায় প্রত্যেক ধারার জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড এবং এটিএর ১১-এফ (২) ধারায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

অন্য মামলায়, ১১-এন, ১১-আই, ১১-জে (২)-এর অধীনে প্রত্যেক ধারার জন্য পাঁচ বছর করে সাজা এবং এটিএর ১১-এফ (৬) ধারায় দেয়া হয়েছে ১৮ মাসের কারাদণ্ড। একই সঙ্গে হাফিজ সাইদকে ৩ লাখ ৪০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছে।

বিচারক এজাজ বাট্টার তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহে সাইদের ভূমিকার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে।

‘হাফিজ সাইদ এবং নিষিদ্ধ সংগঠন আল দাওয়াতুল ইরশাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা প্রমাণগুলো বাস্তব এবং বিশ্বাসযোগ্য।’

৭১ বছরের হাফিজ সাইদসহ জেইউডির বেশ কয়েকজন নেতা ২০১৯ সাল থেকে কারাগারে আছেন। সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগে পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) দায়ের করা মামলায় দোষী প্রমাণ হয়েছিলেন তারা। আরও কয়েকটির বিচার প্রক্রিয়াধীন।

জেইউডির নেতাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে ৪১টি এফআইআর করেছে সিটিডি। এর মধ্যে ২৭টির নিষ্পত্তি হয়েছে আদালতে।

হাফিজ সাইদকে লস্কর-ই-তাইয়েবার প্রতিষ্ঠাতা এবং ২৬/১১ মুম্বাই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ মনে করা হয়। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৬৬ জন প্রাণ হারান।