শুধু সিদ্ধান্ত নিলেই হয় না, সিদ্ধান্ত হতে হয় যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক

শুধু সিদ্ধান্ত নিলেই হয় না, সিদ্ধান্ত হতে হয় যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক

কুমার দেবুল দে: সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসন কি ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে তার কিছুটা বুঝতে পারলাম সুপ্রিম কোর্ট বারের (আইনজীবী সমিতি) পক্ষ থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে। যা বুঝলাম তার মানে হলো সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছেন প্রশাসন। অর্থাৎ তারাই সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন যাদের সুপ্রিম কোর্ট বার অথবা সুপ্রিম কোর্ট সংক্রান্ত কোন না কোন আইডি কার্ড আছে।

কিন্তু আমার কথা হলো সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় আরও কিছু মানুষের প্রবেশ করা অতীব জরুরি অথচ তাদের সুপ্রিম বার বা সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের ইস্যু করা কোন আইডি কার্ড নাই। আবার হয়তো তাদের এই এলাকায় প্রবেশ করতেও হয় এক বা দুই দিনের জন্য।

এই যেমন আগাম জামিন যারা নিতে আসবেন তারা, যারা ক্লায়েন্ট হিসাবে আসবেন তারা বা আইনজীবীদের সাপোর্টিং স্টাফ যাদের কার্ড নাই তারা বা যারা এভিডেভিড করার জন্য তদবীরকারক হিসাবে আসবেন, এসির মিস্ত্রি, ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি বা তালার মিস্ত্রি বা যারা ছাদের উপরে দোকান চালায় বা সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের বিচারপ্রার্থী যারা তারা কিভাবে আসবেন কোর্টে?

শুধু আইডি কার্ডধারীদের কথা চিন্তা করলে হবে না তাদের সাথে ২য় শ্রেণির ব্যক্তিদের কথাও চিন্তা করতে হবে। এই দুই শ্রেণির ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কোন রকম হয়রানি ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। শুধু সিদ্ধান্ত নিলেই হয় না, সিদ্ধান্ত হতে হয় যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।