অগ্রক্রয় কি, কেন, কিভাবে?
আইন-আদালত (প্রতীকী ছবি)

ভারতে বিধায়ক কেনাবেচা: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আদালতের নোটিশ

বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগে মামলায় কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াতকে নোটিশ পাঠাল রাজস্থানের একটি আদালত। আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে গজেন্দ্রকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের পতনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত বিধায়ক ভাগানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ করে সে রাজ্যে অ্যান্টি করাপশন বুরো (এসিবি)। গজেন্দ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার আবেদন জানিয়ে এসিবি জয়পুর আদালতে রিভিশন পিটিশন জমা দেয়। তার প্রেক্ষিতেই গজেন্দ্রকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতের ওই পদক্ষেপের পরেই গজেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গহলৌত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিশানা করতে গিয়ে দলের নেতা পাইলটের নামও টেনে এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, দু’বছর আগে পাইটলকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন গজেন্দ্র।

এ প্রসঙ্গে জয়পুরের চোমু শহরে এক সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের উল্লেখ করেন গহলৌত। তিনি মনে করিয়ে দেন, ওই সভায় গজেন্দ্র বলেছিলেন, সচিন পাইলট যদি সরকার গঠনের সুযোগ না হারাতেন, তা হলে পূর্ব রাজস্থান খাল প্রকল্পের মাধ্যমে ওই এলাকায় জল পৌঁছে দেওয়া যেত।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এখন আপনি (গজেন্দ্র শেখাওয়াত) বলছেন, সচিন পাইলট সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। তার মানে আপনার সঙ্গে পাইলটের যোগসাজশ ছিল।’’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন বটে, কিন্তু আদালত তাঁকে নোটিস ধরিয়েছে বলে মন্তব্য গহলৌতের। গজেন্দ্রকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে আপনার এত ভয় কেন?’’

জানা গেছে, ২০২০ সালে তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের নেতৃত্বে রাজস্থান কংগ্রেসে বিদ্রোহ হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, গহলৌত সরকারের পতন ঘটাতে পরিকল্পনা করেছিল বিরোধী বিজেপি। সেই সময় কয়েকটি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল।

অভিযোগ, ওই অডিও ক্লিপে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্রের গলা শোনা গিয়েছিল। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। গজেন্দ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা চেয়ে আদালতে আবেদন করে এসিবি। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নোটিশ পাঠিয়েছে আদালত।