প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারত সফরে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল
সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী

প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারত সফরে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয়াদিল্লি সফর করবেন। ভারত সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী

জানা গেছে, সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। যার মধ্যে থাকছেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এ সফরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন।

খসড়া সফরসূচি

সফরের খসড়া সূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর দিনের প্রথম ভাগে ভারতে পৌঁছাবেন। ওই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

পরে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একান্তে এবং প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক করবেন। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তালিকায় থাকা সমঝোতা স্মারক সই হবে।

প্রধানমন্ত্রী ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেবেন। ওই দিন দুপুরে তিনি দিল্লি থেকে রাজস্থানে যাবেন। তিনি সেখানে আজমির শরিফ দরগাহে যাবেন। সেখানে মাজার জিয়ারত শেষে পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর সকালে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।

অগ্রাধিকার পাবে যে বিষয়গুলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরে দুই দেশের পানি ব্যবস্থাপনা, প্রতিরক্ষা, রেলপথ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচারসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এই সফরে হায়দারাবাদ হাউসে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন। সেখানে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচাররোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।