৩০ হাজার নথি গায়েব : রাজউকের ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট
হাইকোর্ট ও রাজউক

নতুন ড্যাপ অনুমোদনের প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিট

নতুন ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) অনুমোদন দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে রিট হয়েছে। রিট আবেদনে ২৩ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিতের পাশাপাশি ২০১০ সালের ড্যাপ বহাল রাখার আর্জি জানানো হয়।

আজ রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট করেন।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট দায়ের করার বিষয়ে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ড্যাপের নতুন গেজেট অনুযায়ী অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমি নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আমার ৫টি প্লট রয়েছে। ২০১০ সালের ড্যাপের পরিকল্পনায় এগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কিন্তু নতুন গেজেট অনুযায়ী আমার প্লটগুলো ড্যাপের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট  দায়ের করেছি।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট নতুন ড্যাপের অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। একই প্রজ্ঞাপনে ২০১০ সালে পাস হওয়া ড্যাপ রহিত করা হয়। তবে ২০১০ সালের ড্যাপের আলোকে যেসব কার্যক্রম হয়েছে তা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। 

নতুন ড্যাপে তলাভিত্তিক ভবন নির্মাণের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে। এখানে এলাকাভিত্তিক ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত এফএআরের মাধ্যমে একটি প্লটে কত আয়তন বা উচ্চতার ভবন নির্মাণ করা হবে, তা নির্ধারণ করা হয়।

তাই যেসব এলাকায় নাগরিক পরিষেবার মান ভালো, পার্ক বা উন্মুক্ত স্থান আছে, প্লটের পাশে প্রশস্ত রাস্তা আছে, সেসব এলাকায় এফএআরের মান বেশি ধরা হয়েছে। আর যেসব এলাকায় রাস্তা সরু ও নাগরিক সেবার মান তুলনামূলক খারাপ, সেসব এলাকায় এফএআরের মান কম ধরা হয়েছে। এই ড্যাপ ২০৩৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।