দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দেবেন না : বিচারকের পর্যবেক্ষণ
বিশেষ জজ আদালত-৮, ঢাকা

৫৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ : সাবেক সেনা কর্মকর্তার ১২ বছর কারাদণ্ড

এক হাজার ৪৪৯ বিনিয়োগকারীর ৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদকে ১২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভুঞার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে অন্য আসামি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সনাতনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসুর রহমানের ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ৬ কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় দুদকের পক্ষে আমরা ৩৭ জনের সাক্ষ্য দিয়েছিলাম। আসামিরা শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। আজ তাদের অনুপস্থিতিই রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যসহ মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

মামলায় ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি জালাল উদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী ও সোসাইটির সহ-সভাপতি আলেয়া ফাতেমা, ছেলে ও সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তালহা আহমেদ এবং মেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাদিয়া আহমেদকে আসামি করা হয়েছিল।

তদন্ত শেষে জালাল উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। আর তদন্তের মাধ্যমে শেখ সামসুর রহমানকে অভিযোগভুক্ত করা হয়।

পরবর্তীতে আদালত জালাল উদ্দিন ও সামসুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার বিচারচলাকালীন আদালত ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সেনাবাহিনী থেকে ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন জালাল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তী সময়ে তিনি ও তার স্ত্রী আলেয়া ফাতেমা ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যবসা শুরু করেন।

এ সময় তিনি গ্রাহকদের আশ্বাস দেন, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুকূলে এফডিআরের মাধ্যমে টাকা রাখলে কেউ কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তিনি ১ হাজার ৪৪৯ বিনিয়োগকারীর মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা ওই মাল্টিপারপাসের নাম রশিদের মাধ্যমে জমা নেন।

কিন্তু ওই সোসাইটির ব্যাংক হিসেবে কোনো অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ের কাছে ওই অর্থপাচার করেন।