একই ঘটনায় ভিন্ন ভিন্ন অপরাধ সৃষ্ট হলে বিচারের পদ্ধতি কি?
মোঃ করমুল্লাহ; অ্যাডভোকেট, চট্টগ্রাম জজ আদালত।

ওয়ারিশ সনদ ভুয়া হলে আইনি প্রতিকার

মোঃ করমুল্লাহ্ : একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পক্ষদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে (ওয়ার্ড মেম্বার কর্তৃক সত্যায়িত) একটি ওয়ারিশ সনদ ইস্যু করেছেন। কিন্তু ওয়ারিশ সনদে দেয়া যে তথ্য সমূহ রয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এক্ষেত্রে চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগনের বিরুদ্ধে কোন আইনের কোন ধারায় মামলা দায়ের করা যাবে?

উপর্যুক্ত ক্ষেত্রে দন্ডবিধির ৪৬৩-৪৭১ ধারার অপরাধসমূহ প্রযোজ্য হবে না। কারণ এখানে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করা হয়নি অর্থাৎ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর সঠিক ছিল এবং তথ্যসমূহ ভুয়া ছিল। তবে এমন অপরাধের জন্য চেয়ারম্যানকে শাস্তি দেওয়া যাবে দন্ডবিধির ১৯৭ ধারা মোতাবেক। পক্ষগণকে শাস্তি দেওয়া যাবে ১৯৮ ধারা মোতাবেক।

দন্ডবিধির ১৯৭ এবং ১৯৮ ধারা মোতাবেক অপরাধ সংঘটিত হলে দন্ডবিধির ১৯৩ ধারা মোতাবেক (উক্ত মিথ্যা দলিল আদালতে ব্যবহার করা হলে) ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। যদি আদালতের বাহিরে ব্যবহার করা হয় সে ক্ষেত্রে ৩ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড।

যদি জন্ম নিবন্ধন অথবা মৃত্যু নিবন্ধন সম্পর্কিত হয় সেক্ষেত্রে যারা মিথ্যা তথ্য দিবেন তাদেরকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ২১(২) ধারা মোতাবেক সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

যিনি ইস্যু করবেন তাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ২১(৩) ধারা মোতাবেক সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

লেখক : আইনজীবী, চট্টগ্রাম জজ আদালত