পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আইনজীবীর আত্মহত্যা

পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আইনজীবীর আত্মহত্যা

কুমিল্লায় পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক আইনজীবী। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে নগরীর ছোটরা ইংরেজ কবরস্থান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নিহত আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান জনি কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি দাউদকান্দি উপজেলার তুজার ডাঙ্গা এলাকার জামাল আহম্মেদের ছেলে। পরিবার নিয়ে তিনি নগরীর ছোটরা এলাকায় বসবাস করত।

নিহতের স্ত্রী আইনজীবী ফাতেমা আক্তার জানান, তাঁর স্বামী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। মানসিক ডাক্তারও দেখানো হয়েছে। তিনি নিয়মিত আদালতে যেতেন না। রাতে প্রায় দেরিতে ঘুমাতেন। অনেক দিন ধরে পারিবারিক কলহও ছিল।

ফাতেমা আক্তার বলেন, মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের মতো আমরা বাচ্চা নিয়ে শুয়ে পড়ি। পরে তিনি উঠে সামনের রুমে যায়। ভেবেছি হয়তো প্রতিদিনের মত ওই রুমে কোন কাজ বা মোবাইল চালাচ্ছেন। পরে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠে ওই রুমে গিয়ে দেখি স্বামীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাঁটি হয় কিন্তু গেল রাতে তেমন কিছু হয়নি যে সে আত্মহত্যা করবে।’

ফাতেমা আক্তার জানান, প্রেমের পর ২০০৪ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের লেখাপড়া করায়। ২০১৬ সালে আইনজীবীর সনদ লাভ করে একত্রে স্বামী-স্ত্রী আইন পেশায় আসেন। সম্প্রতি স্বামী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়ায় আদালতে তেমন যেতেন না। তাঁদের আসিফা জামান নামের চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু তাহের বলেন, নিহত জনি ও তাঁর স্ত্রী আইনজীবী সমিতির সদস্য। হঠাৎ এমনটা কেন করলো বুঝছিনা। আশা করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রকৃত রহস্য বের করবেন।

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরে তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে।