ব্যাংকের কোটি টাকা শোধে মোস্তফা গ্রুপের পরিচালকদের জামিন
চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত (ছবি: সংগৃহীত)

নুরজাহান গ্রুপকে রূপালী ব্যাংকের ৫৮০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ

চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ নুরজাহান গ্রুপের ছয় পরিচালককের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপের অভিযোগে রূপালী ব্যাংকের দায়ের করা তিনটি মামলায় ঋণের ৫৮০ কোটি টাকা আগামী ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের যুগ্ম জজ মুজাহিদুর রহমান সোমবার (৩১ অক্টোবর) এ রায় ঘোষণা করেন।

অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে ২০১৬ সালে নুরজাহান গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জাসমির ভেজিটেবল অয়েল, মারবিন ভেজিটেবল অয়েল এবং মেসার্স নুরজাহান সুপার অয়েল লিমিটেডের ছয় পরিচালকের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে রুপালী ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানের ছয় পরিচালককে আসামি করা হয়। তিন মামলায় সোমবার আদালত এ রায় প্রদান করেন।

ছয় পরিচালক হলেন- জহির আহমেদ রতন, টিপু সুলতান, জসিম উদ্দিন, ইফতার আল জাবের, তাসমিন মনোয়ার ও ফরহাদ মনোয়ার

আদালত সূত্র জানান, অপরিশোধিত ভোজ্য তেল আমদানি করার জন্য ২০১১ সালে রূপালী ব্যাংক নুরজাহান গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছিল। বেশ কয়েকবার পুনঃতফশিল সুবিধা দেওয়ার পরও নুরজাহান গ্রুপ বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ পরিশোধ করেনি। এরপর তিনটি মামলায় আদালত ঋণ পরিশোধের এ নির্দেশ দেন।

রেজাউল করিম আরও জানান, নুরজাহান গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান জাসমির ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বর্তমানে সাউথইস্ট ব্যাংকের ২৬৮ কোটি টাকা আদায়ে দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। তার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপ এবং চেক প্রতারণার অভিযোগে ২১টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর টিপু সুলতানকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জহির আহমেদ রতনসহ অন্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। তারা পলাতক রয়েছেন। ন্যাশনাল ব্যাংকের ১১৮ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ না করায় নুরজাহান গ্রুপের এমডি জহির আহমদ রতনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গত ৩ ফেব্রুয়ারি অর্থঋণ আদালতের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মুজাহিদুর রহমান ওই আদেশ দেন।

এসব ঋণ খেলাপিদের কাছে চট্টগ্রামে জনতা, সোনালী, অগ্রণী, রূপালী, সাউথইস্ট, ন্যাশনাল, কমার্স ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে খেলাপি ঋণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। যা তারা পরিশোধ করছেন না।