খাস কামরায় নয়, বিচারিক আদালতের আদেশ-রায় দিতে হবে প্রকাশ্য আদালতে
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

অর্থ আত্মসাৎ, লুটপাট ও পাচারকারীদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত: হাইকোর্ট

জনগণের টাকা আত্মসাৎ, লুটপাট ও পাচারকারীদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলার এক আসামির জামিন শুনানিকালে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবুল হোসেন, সঙ্গে ছিলেন মো. জুবায়দুর রহমান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

মঙ্গলবার বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন শুনানি হচ্ছিল। এতে আইনজীবী আবুল হোসেন মামলার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বলেন, পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে। এখনও এসব মামলার তদন্তই শেষ হয়নি। দুদক এসব মামলার অভিযোগ পত্র দিতে পারেনি। যে কারণে বিচারও শুরু করা যাচ্ছে না।

তখন আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এত বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও এসব মামলার বিচার হবে না? এ সময় দুদককের আইনজীবীর কাছে আদালত চান, কেন মামলার চার্জশিট দিচ্ছেন না। অর্থ লুটপাট, পাচারের মামলার সামারি ট্রায়াল (দ্রুত বিচার) হওয়া উচিত। আদালত আরও বলেন, যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের গুলি করার শাস্তি হওয়া উচিত।

এরপর আদালত জামিন আবেদনের শুনানি ২১ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি সংক্রান্ত সব মামলার হালনাগাদ তথ্য দিতে দুদককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আসামির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন বলেন, পাঁচ বছর পার হলেও দুদক মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে না। বিচারকাজও শেষ হচ্ছে না। আদালত অর্থপাচারকারীদের জাতির শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কেন এসব মামলার ট্রায়াল হবে না, সে প্রশ্নও রেখেছেন।

বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। অন্য চারটি মামলা জামিন আবেদন শুনানির অপেক্ষায়।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানার করা মামলার মোট আসামি ছয়জন।