ঢাকা জজ কোর্টে মানসম্মত মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানে বিটিআরসিকে চিঠি
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)

ঢাকা জজ কোর্টে মানসম্মত মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানে বিটিআরসিকে চিঠি

ঢাকা জেলা জজ আদালত ভবনসমূহে এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির ১০ তলা বিশিষ্ট বহুতল ৩টি ভবনসহ অ্যাডভোকেট’স চেম্বার সমূহে মোবাইল নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি (High Frequency) বৃদ্ধি সহ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হাই বুস্ট সিগন্যাল বুস্টার স্থাপনের মাধ্যমে বিরামহীনভাবে মানসম্মত নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান করতে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা জজ কোর্টের ৯ জন আইনজীবী রোববার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সচিব ও ৪টি ফোন কোম্পানির সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি প্রেরণ করা হয়।

চিঠি প্রেরণকারী ৯ আইনজীবী হলেন- সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোঃ মেহেদী হাসান, এস. এম. জাবিরুল হক কাজল, মোঃ হুমায়ূন কবির সরকার, আদলু সাইন, তৌসিফ মাহমুদ, মোঃ আব্দুল কাউয়ূম সজীব এবং ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এইচ. এম. রাশিদুল ইসলাম, মোঃ ওবায়দুল্লাহ কাজী ও মোঃ সুজন মিয়া।

চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা আইনজীবী সমিতি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ আইনজীবী সমিতি এবং বর্তমানে আইনজীবী সদস্য সংখ্যা ২৭,৮৮২ (সাতাশ হাজার আটশত বিরাশি)। যেহেতু মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানী সমূহ নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে ঢাকাসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান করে উন্নয়নের অংশীদার হয়ে আসছে।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, রাজধানী ঢাকার মধ্যে অবস্থিত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চীফ মেট্রোপলিটন আদালত (সিএমএম), চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিজেএম), জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির ১০ তলা বিশিষ্ট বহুতল ৩টি ভবন সহ অ্যাডভোকেট’স চেম্বার সমূহে মোবাইল নেটওয়ার্কের সংযোগ খুবই দুর্বল ও নিম্ন মানের হওয়ায় বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীসহ সাধারণ জনগণ মোবাইল যোগাযোগে প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

উল্লেখ্য, উপরিউক্ত ভবন সমূহে মোবাইলে কথা বলতে গেলে নেটওয়ার্ক ধীরগতি ও তরঙ্গ দুর্বল হওয়ায় কথা শোনা যায় না, এমনকি প্রায়শই কল ড্রপ হয়। অনেক সময় বর্ণিত ভবনসমূহে বাহিরে থেকে কেউ জরুরী কল দিলে মোবাইলে নেটওয়ার্ক সংযোগ আসে না, এমনকি অত্র এলাকা থেকে ফোনে কল দিলে কথা বলতে বলতে লাইন কেটে যায়।

অপরদিকে নেটওয়ার্ক দুর্বল হওয়ার কারনে কেউ ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং সিস্টেম জেনারেশন থেকে নো-সার্ভিস সহ বলা হয় যে “দুঃখিত এই মুহুর্তে কল সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না অথবা সরাসরি নো-কানেকশন আসে”। উপরন্তু ধীরগতি নেটওয়ার্ক সার্ভিসের জন্য ইন্টারনেটে ডাটা ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।

যেহেতু বিজ্ঞ বিচারকগণ, বিজ্ঞ আইনজীবীগণ এবং বিচারপ্রার্থীগণ আদালতে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আসেন কিন্তু মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্ভিস দুর্বল হওয়ার কারনে যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পেশাগত ও ব্যক্তিগত কাজে সকলেই বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছেন।

সর্বোপরি, যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রেখে চলেছেন বিধায় ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি সহ হাই বুস্ট সিগনাল বুস্টার স্থাপনের মাধ্যমে মান সম্পন্ন সেবা প্রদান এখন সময়ের দাবী।

এমতাবস্থায়, উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনে তদন্ত/অনুসন্ধান করত: ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (সিএমএম), চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিজেএম), জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির ১০ তলা বিশিষ্ট বহুতল ৩টি ভবন সহ অ্যাডভোকেট’স চেম্বার সমূহে মোবাইল নেটওয়ার্কের ফ্রিকোয়েন্সি (High Frequency) বৃদ্ধি সহ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন হাই বুস্ট সিগন্যাল বুস্টার স্থাপনের মাধ্যমে বিরামহীনভাবে মানসম্মত মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান করিবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।