কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

২৯ বছর স্থগিত থাকার পর মামলার কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

রুল নিষ্পত্তি না হওয়ায় দীর্ঘ ২৯ বছর স্থগিত ছিল একটি মামলার বিচার কাজ। এ দীর্ঘ সময় মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছিল ন্যায়বিচার। বিনা বিচারে সুদীর্ঘ সময় মামলাটি ঝুলে থাকায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে পূর্বে জারিকৃত রুল খারিজ করে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (২৭ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।

আদালতে মামলার আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জাহিদুল বারী ও অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহিউদ্দিন দেওয়ান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আশরাফ উদ্দীন খান, তাদের সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট একলাস উদ্দিন ভুঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহিন আরা লাইলী।

জানা গেছে, ১৯৯২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় অস্ত্র আইনের একটি মামলা দায়ের করা হয়। একই বছর মামলার দুই আসামি বর্তমানে বাঁশখালী থানার চম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুল হক চৌধুরী ও আহম্মদ ছফাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীতে মামলায় চার্জগঠন করেন বিচারিক আদালত।

এই মামলায় জামিন পেয়ে আসামি আহম্মদ ছফা মামলার অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর আদালত মামলার সকল কার্যক্রম রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেন। কিন্তু এ মামলার ১ নং আসামি মজিবুল হক চৌধুরী শুরু থেকেই পলাতক।

এদিকে মামলার বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাদীপক্ষ ন্যায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মর্মে বিষয়টি সম্প্রতি আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট একলাস উদ্দিন ভুঁইয়া। শুনানি শেষে পূর্ববর্তী রুল খারিজ করে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।