পৃথক দুই মামলায় বিএনপি নেতা রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন

পৃথক দুই মামলায় বিএনপি নেতা রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানোর পৃথক দুই মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালতে গরহাজির থাকায় আজ সোমবার ( ৫ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর মামলা

২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের কাজের অংশ হিসেবে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি মিন্টু রোডের ইস্কাটন হয়ে মাতুয়াইলের দিকে যাচ্ছিল। পথে কাকরাইলের বিজয়নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০-২৫০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় গাড়িচালক আয়নাল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালে ফখরুলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভী, জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও শফিকুল বারী বাবু।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন আদালতে হাজিরা দেন। তবে রিজাভীসহ বাকি তিনজন আদালতে হাজির হননি। এজন্য বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ২৯ মার্চ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। 

গাড়ি পোড়ানোর মামলা

২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে আসামিরা একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীত পাশে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

এ মামলায় গত ৬ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।

গ্রেফতারের পরই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ইশরাকের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে ওইদিনই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তামান্না ফারহার আদালত।

এরপর ১২ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় ইশরাক জামিনে ছিলেন। আজ তিনি আদালতে হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।