আদালতে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন বয়োবৃদ্ধ বাবা
চট্টগ্রাম আদালত

ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন, তদন্ত কর্মকর্তার ব্যাখ্যা চাইলেন আদালত

মারধর ও চাঁদাবাজির মামলার তদন্তে কারসাজির ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ চন্দ্র সরকারকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মাত্র চার দিনে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

চট্টগ্রামের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মোহাম্মদ জুনায়েদের আদালত রোববার (১১ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।

অভিযুক্তের আইনজীবী সোহেল চৌধুরী জানান, রোববার আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করে ত্রুটি পেয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে ঘটনার এক তারিখ উল্লেখ করেছেন। বাদী অন্য তারিখ উল্লেখ করেছেন।

এর আগে গত শনিবার (১০ ডিসেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রবাসীকে চাঁদাবাজ বানাতে অতি উৎসাহী পুলিশ’ শিরোনামে এ মামলার তদন্ত নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তার পরদিন রোববার আদালত তার কাছে ত্রুটিপূর্ণ তদন্ত নিয়ে ব্যাখ্যা তলব করেন।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুরের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন তালুকদার বাদী হয়ে গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি মামলা করেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ১ নভেম্বর তার বাড়ির সামনে গিয়ে নিজাম উদ্দিন ও প্রবাসী ইকবাল হোসেন নামের দুই সহোদর ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাকে মারধর করেন। পকেটে থাকা দুই হাজার চারশ’ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।

শুনানি শেষে আদালত রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। মামলার নথি থানায় পৌঁছার পর তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই প্রকাশ চন্দ্র সরকার। ১৪ নভেম্বর তদন্তভার নিয়ে ১৮ নভেম্বর ঘটনা সত্য উল্লেখ করে অবিশ্বাস্য গতিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

যদিও বাদী মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মারধর ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে ১ নভেম্বর। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন আসামিরা ভিকটিমকে মারধর ও চাঁদাবাজি করেছেন ১২ নভেম্বর।

জানা গেছে, নিজাম ও ইকবালের বড় ভাইকে ২০১৫ সালে খুন করে সন্ত্রাসীরা। এ মামলায় ৮ আসামির ফাঁসি ও যাবজ্জীবন হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, নতুন এ মামলার বাদী ইকবাল হোসেন তালুকদার তাদের সহযোগী।