খাস কামরায় নয়, বিচারিক আদালতের আদেশ-রায় দিতে হবে প্রকাশ্য আদালতে
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন আইনজীবী, তদবিরকারীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

একই আদেশের বিরুদ্ধে দুই আবেদন

গাজীপুরের একটি মাদক মামলায় বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন স্ট্যান্ডওভার থাকার পর, একই আদেশের বিরুদ্ধে দুটি আবেদন করার ঘটনায় নতুন আবেদনের তদবিরকারী হৃদয় মিয়াকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে। তবে মামলার আইনজীবী মো. এহসান রুশদী আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট মঙ্গলবার (২৩ মে) বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

জানা গেছে, গত ৯ মে গাজীপুরের একটি মাদক মামলায় বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন স্ট্যান্ডওভার থাকার পর একই আদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে আবেদন করায় এক আইনজীবী ও তদবিরকারীকে শোকজ করেন হাইকোর্ট। আইনজীবী মো. এহসান রুশদী ও তদবিরকারীক হৃদয় মিয়াকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়। আদালতের আদেশে আইনজীবী মো. এহসান রুশদী হাজির হয়ে ঘটনার জন্য আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু তদবিরকারী হৃদয় মিয়া আদালতে হাজির হননি।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত মাদক মামলার এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ২৬ এপ্রিল হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদন করা হয়। আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও অ্যাডভোকেট রাশেদুজ্জামান। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত মামলাটি দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার রাখেন। এই আবেদন স্ট্যান্ডওভার থাকা অবস্থায় গত ৮ মে গাজীপুর আদালতের একই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী এহসান রুশদী। এই আবেদনের তদবিরকারী হলেন হৃদয় মিয়া নামে এক ব্যক্তি। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে এলে আদালত তাদেরকে তলব করেন।