সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে আদালতের শোকজ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন

সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ, বাদীকে সর্তক করলেন আদালত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নামে শ্রম আদালতে হওয়া ‘হয়রানিমূলক’ মামলা খারিজ করে দিয়েছে প্রথম শ্রম জজ আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে প্রথম শ্রম জজ আদালতে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীকালে আদালতে বাদী কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) মো. মাসুদ আলম উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ফৌজদারী মামলা নম্বর ৭০/২০২২। মামলায় সাঈদ খোকন ছাড়াও জেরাল্ড রেবেরো ও তৌতম ব্রামা নামে আরও দুইজনকে বিবাদী করা হয়েছে। জেরাল্ড রেবেরো ও তৌতম ব্রামা সাঈদ খোকনের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী।

শুনানীকালে প্রথম শ্রম জজ আদালতের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী বিবাদী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নামে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মামলার শুনানী গ্রহণ করেন। শুনানী শেষে আদালত বাদীকে তথ্য-প্রমান ছাড়া মামলা করায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে সর্তক হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, মামলাটির বাদী ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর রোডের হোটেল লং বীচ পরিদর্শন করে বাংলাদেশ শ্রম আইন মোতাবেক শ্রমিকদের জন্য সার্ভিস বইয়ের ব্যবস্থা না থাকা, নির্ধারিত তথ্য সম্বলিত শ্রমিক রেজিষ্টার সংরক্ষণ না করা, শ্রমিক বা কর্মচারীদের আইন মোতাবেক ছুটি না দেওয়া, রেজিষ্টার সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, ধারা ৩০৩(৫) এবং ৩০৭ মোতাবেক প্রথম শ্রম আদালতে মামলা করেন মাসুদ আলম। তিনি এই মামলায় লং বিচ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ব্যবস্থাপক জেরাল্ড রেবেরো, সহকারী ব্যবস্থাপক তৌতম ব্রামার নাম উল্লেখ করেন।

প্রথম শ্রম আদালত সূত্র জানায়, এর আগে গত সোমবার (২৯ মে) বিবাদীদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমান ছাড়া মামলা করায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন প্রথম শ্রম জজ আদালতের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী।

সাঈদ খোকনের পক্ষে বিবাদীদের আইনজীবী সেলিম আহসান খান বলেন, মামলায় লং বীচ হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের নাম দেওয়া হয়েছে। সেটির মালিকানা বা পরিচালনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যেই এই মামলাটি করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটি একটি হয়রানিমূলক মামলা। মামলাটির সঙ্গে তাঁর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। তাই আদালত আমাদের শুনানী গ্রহণ করে বাদীকে সর্তক করেছেন।