পিএইচডি গবেষণায় জালিয়াতি রোধে প্রযুক্তির ব্যবহারের পরামর্শ-প্রস্তাব আদালতে উপস্থাপন

পিএইচডি জালিয়াতি রোধে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল

পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভ (থিসিস) জালিয়াতি রোধে নীতিমালা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করা হয়েছে। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার (৬ আগস্ট) এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান রিটকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন। আইনজীবী বলেন, এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন আদালত। সংশ্লিষ্ট কমিটি নীতিমালা প্রতিবেদন আকারে রোববার আদালতে দাখিল করেছেন।

এর আগে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। কমিটির সদস্যরা হলেন- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারপারসন ড. অধ্যাপক সাইফুদ্দিন মো. তারেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাকিব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাজনীন ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর।

কমিটিতে তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কমিটি। বার বার সময় নিয়ে অবশেষে আদেশের প্রায় এক বছর পর রোববার প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ শিরোনামে ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করে আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি কীভাবে অনুমোদন করা হয়, তা খতিয়ে দেখে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮ শতাংশ নকল’ এ বিষয়ে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ওই আদেশ অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও মঞ্জুরি কমিশন আদালতে প্রতিবেদন দেয়।