বিচারহাইকোর্টে হাজির হয়ে এক কিশোরী বললেন, ‘আমি ধর্ষণের শিকার, বিচার চাই’পতি সিনহার নামে মিথ্যা মামলা: ব্যারিস্টার হুদার বিষয়ে আদেশ মঙ্গলবার
উচ্চ আদালত

বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আপিল বিভাগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন করেন।

আদালত অবমাননার আবেদনটি আজ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নজরে আনা হয়। আপিল বিভাগ আবেদনটি গ্রহণ করেছেন।

এসময় আইনজীবী শাকিলা রওশন, আইনজীবী খায়রুন নেছা, আইনজীবী শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মিছিল সমাবেশও করে আসছে।

গত ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘বিচারপতি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘এ সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর যে রাষ্ট্র-দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন—সব দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে এই সংবিধানে।’

তিনি বলেন, ‘ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত—এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্র চাই। বঙ্গবন্ধুর শোষিতের গণতন্ত্র কী? শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়। ভোট দিয়ে রাজা ও মন্ত্রীর পরিবর্তনই গণতন্ত্র নয়। যে গণতন্ত্র মানুষের ভাতের নিশ্চয়তা, বেকারের চাকরির সংস্থান ও দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি ঘটাতে না পারে—বঙ্গবন্ধু সে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।’

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত হবে না, যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উন্মেষ ঘটে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হবে না, শুধু ভোট দিয়েই এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। সংবিধান রক্ষার যে শপথ নিয়েছি, সে অবস্থায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের আবহ ও প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সবকিছু মাথায় নিয়ে বিচারিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‌‘সারা বিশ্বে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?’