ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যার ১৮ বছর, যথাযোগ্য মর্যাদায় মৃত্যুবার্ষিকী পালনের অনুরোধ
বিচারক শহীদ সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে

ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যার ১৮ বছর, যথাযোগ্য মর্যাদায় মৃত্যুবার্ষিকী পালনের অনুরোধ

জঙ্গি হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক হত্যার ১৮ বছর আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর)। বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবির) বোমা হামলায় ২০০৫ সালের আজকের দিনে মারা যান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দুই বিচারক শহীদ সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে।

জঙ্গিদের কাপুরষোচিত বোমা হামলায় নিহত সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে এর ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী দেশের সকল জজশীপে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য জেলা জজদের অনুরোধ জানিয়েছে বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে নৃশংস বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের।

এ সময় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি বিধ্বস্ত হয়। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। এরপর জেএমবির শীর্ষ নেতারা আটক হয়।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহালের পর দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

এরা হলেন- জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই, সামরিক শাখাপ্রধান আতাউর রহমান সানি, উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল, দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুল্লা ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন।

২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর আরেক জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয় খুলনা কারাগারে।