এজলাসে বিচারককে জুতা নিক্ষেপ আসামির

এজলাসে বিচারককে জুতা নিক্ষেপ আসামির

নয় মাস কারাগারে থেকেও জামিন না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে এজলাসেই বিচারককে জুতা নিক্ষেপ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আসামির বিরুদ্ধে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবিরের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

আসামির নাম মো. মনির খান (৩২)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর এলাকার বাসিন্দা।

বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মোঃ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী। তিনি জানান, ‘দীর্ঘ ৯ মাস হাজতবাসের পরেও জামিন না পাওয়ার হতাশা থেকে বিচারককে জুতা নিক্ষেপ করেছেন বলে এজলাসে চিৎকার করে বলতে শোনা গেছে আসামিকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে পড়েন এজলাসে উপস্থিত আইনজীবী, আদালত কর্মচারীসহ শতাধিক মানুষ। বিচারকও এজলাস ত্যাগ করেন সঙ্গে সঙ্গেই।’

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মো. মনির খান মাইকেল নামীয় নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দুটি লাইভ করেন তিনি। এতে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে প্রোপাগান্ডা চালানো, আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোসহ বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা বিচারাধীন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি মনির খানের মামলার ধার্য তারিখ ছিলো আজ। সেজন্য তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। নিয়ম মেনে আদালতের এজলাসে আসেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল বিচারক জহিরুল কবির। এজলাসে আসন গ্রহণের পরই বিচারককে উদ্দেশ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেন আসামি।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন,’বিচারক এজলাসে বসার সঙ্গে সঙ্গে বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করে আসামি। এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

এদিন আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেছিলেন তাঁর নিয়োজিত আইনজীবী। তবে এ ঘটনার পর ওই আইনজীবী আদালতকে লিখিতভাবে জানান আসামি পক্ষে তিনি আর মামলা পরিচালনা করতে চান না।