পা হারানো শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
শিক্ষানবিশ আইনজীবী নুরুল আলাল

পা হারানো শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সৌদিয়া পরিবহনের বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে পা হারানো কক্সবাজারের মহেশখালীর বাসিন্দা শিক্ষানবিশ আইনজীবী নুরুল আলালের (৩৫) জন্য ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা আবেদনটি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বোর্ড অব ট্রাস্টিকে এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জুলহাস উদ্দিন আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন এসকে ওমর শরীফ ও মো. সেলিম হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী এসকে ওমর শরীফ বলেন, গত ২ জুন রাত ৩টায় চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় ফেবো ফিলিং স্টেশনের সামনে সৌদিয়া পরিবহনের বাস ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসে থাকা শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোহাম্মদ নূরুল আলাল তার একটি পা হারিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনার পর দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত আর্থিক সহায়তা তহবিল হতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন আলাল। দীর্ঘ দিনেও সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় আলালের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তার স্ত্রী।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, সৌদিয়া পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও বিআরটিএর বোর্ড অব ট্রাস্টিকে বিবাদী করা হয়।

সেই রিটের শুনানি নিয়ে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নের রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে বিআরটিএর কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা আবেদনটি এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মিয়াজির পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ শফির বড় ছেলে নুরুল আলাল। নতুন চাকরির সুবাদে ঢাকায় বউ-বাচ্চাকে নিয়ে আসতে গত ২ জুন রাতে সৌদিয়া পরিবহনের বাসে যাত্রা করেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সৌদিয়া বাস ও ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এতে করে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েন আলাল। যে কারণে ওই ঘটনায় বাস চালকের অবহেলা রয়েছে এমনটি উল্লেখ করে বিআরটিএ গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টির কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তিনি।