ঋণখেলাপি নুরজাহান গ্রুপের এমডির সাজাভোগ শুরু

ঋণখেলাপি নুরজাহান গ্রুপের এমডির সাজাভোগ শুরু

প্রায় আট হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণের একাধিক মামলায় গ্রেফতার চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান নুরজাহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জহির আহমদ রতনের সাজাভোগ শুরু হয়েছে। ১৭টি মামলায় অর্থঋণ আদালতে দেওয়া রায় অনুযায়ী তাকে মোট সাত বছর এক মাস জেল খাটতে হবে।

চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক যুগ্ম জেলা জজ মুজাহিদুর রহমানের আদালত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সাজামূলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বিভিন্ন ব্যাংকের দায়ের করা ১৭টি মামলায় জহির আহমদ রতনের মোট সাত বছর এক মাসের কারাদণ্ড হয়। পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছিলেন। গ্রেফতারের পর রতনকে মঙ্গলবার সাজা পরোয়ানা মূলে অর্থঋণ আদালতে হাজির করা হয়।

রতনের পক্ষে তার আইনজীবী সব মামলায় দেওয়া সাজা একসঙ্গে কার্যকরের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে প্রতিটি মামলায় দেওয়া সাজা একটির পর আরেকটি কার্যকরের আদেশ দেন।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর রতনকে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ। পরদিন তাকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

জানা গেছে, রতনের বিরুদ্ধে খেলাপি ঋণের মোট ৬১টি মামলা আছে। এর মধ্যে ২৬টি মামলায় তার সাজা হয়েছে। ২৬টির মধ্যে ১৭টি মামলার সাজা হয় অর্থঋণ আদালত থেকে। আরও ৩৫টি মামলা বিচারাধীন আছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ পায় নুরজাহান গ্রুপ। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে এ গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আট হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

অভিযোগ আছে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দায় পরিশোধ করে না করে নুরজাহান গ্রুপ বিভিন্ন কারখানা স্থাপন, জমি কেনা এবং বিভিন্ন উপায়ে বিদেশে পাচার করেছেন।
২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরজাহান গ্রুপের পরিচালক ও জহির আহমেদ রতনের ছোট ভাই টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করেছিল চট্টগ্রামের খুলশী থানা পুলিশ।