ড. ইউনূসের মামলা আপসে ১২ কোটি টাকা লেনদেন, প্রশ্ন হাইকোর্টের
হাইকোর্ট ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস

৫০ কোটি টাকা দিয়ে ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে আপিল করতে হবে

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল ফাইল করতে ৫০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী যেটা দেয়ার তা ড. ইউনূসকে দিতে হবে। এখানে অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা আক্তার বলেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে ২০১১ থেকে ২০১৩ দুই করবর্ষের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা আয়কর দাবি করে গ্রামীণ কল্যাণ ট্রাস্টকে নোটিশ পাঠায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ টেলিকম ওই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে। পরে ওই নোটিশ কেন বেআইনি বলা হবে না এ নিয়ে রুলও জারি করেন আদালত। এরপর গত তিন বছরে বিভিন্ন আদালত ঘুরে মামলাটি বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে আসে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আজ (সোমবার) গ্রামীণ টেলিকমের রিট আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। সেই সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমকে নিয়মানুযায়ী দাবি করা আয়করের ২৫ শতাংশ টাকা আগে জমা দিয়ে এরপর এনবিআরের বিরুদ্ধে আপিল করতে আদেশ দেন।