ডিজিটাল যুগে বিচার বিভাগ, জারি করা হল 'প্র্যাকটিস নির্দেশনা'
ভার্চুয়াল কোর্ট (প্রতীকী ছবি)

রাজশাহীতে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ

রাজশাহীতে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আদালতের বিচারক মো. এনায়েত কবির সরকার গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ত্রাস ০৭/২২ মামলায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি মো. জহুরুল ইসলাম এবং আসামী পক্ষে ছিলেন সুনির্মল সরকার।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনো টাইপিস্ট মো. সোহানুর রহমান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৯ জুলাই এর ১১ নং আইন মোতাবেক ভার্চুয়াল প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণের আইন হলেও তা বহুলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসন শাখা থেকে গত বছরের ২০ আগস্ট অডিও-ভিডিও বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী পক্ষগণ, তাঁদের আইনজীবী বা সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি বা সাক্ষীগণের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানিসহ মামলার যে কোন পর্যায়ে আবশ্যকরণীয় ক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করা হয়।

সেই আলোকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, কিছু দিন পূর্বে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে আসামী ছিনতাই এর ঘটনা বিবেচনা করে এবং জঙ্গি আসামিদের নিরাপত্তা জনিত কারণে রাজশাহীর সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. এনায়েত কবির সরকার আইনানুযায়ী রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সহ আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জহুরুল ইসলাম বলেন, এই সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বার উন্মোচিত হলো। সরকারের ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পদক্ষেপ একধাপ এগিয়ে গেলো।

আসামী পক্ষের আইনজীবী সুনির্মল সরকারও ভার্চুয়াল প্রক্রিয়ায় জেরা করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।