গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য পৃথক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

ভূ-রাজনৈতিক ষড়ষন্ত্র, মায়ানমারের সামরিক উস্কানি মোকাবেলা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোকে শক্তিশালী করতে পৃথক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে উক্ত আবেদন প্রেরণ করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মাহমুদুল হাসান।

বাংলাদেশ সংবিধানের ২১(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নাগরিক দায়িত্ব পালন অংশ হিসেবে দেশের স্বার্থরক্ষা, শৃঙ্খলা, সার্বভৌমত্বের সুরক্ষার জন্য এই আবেদন করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়েছে যে, আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক ষড়ষন্ত্রের শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন শক্তিশালী দেশ বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ক্রমাগত চক্রান্ত করছে। এছাড়া আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার আমাদের সীমান্তে ক্রমাগত সামরিক উস্কানি দিচ্ছে এবং মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত কে যুদ্ধ অঞ্চলে (War Zone) পরিণত করেছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলনীতি হলো, “সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়”। তথাপি, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকারকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

উক্ত আবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নের দায়িত্ব বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পৃথক কোন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১ অনুযায়ী বাংলাদেশ এককেন্দ্রিক সরকার ব্যাবস্থা (Unitary Government System) অনুসরণ করে থাকে। অন্যদিকে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৫(২) অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের সকল নির্বাহী ক্ষমতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে পরিচালিত হয়।

আবেদনে বলা হয়েছে, এককেন্দ্রিক সরকার ব্যাবস্থা (Unitary Government System) এমন একটি সরকার ব্যাবস্থা যেখানে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়। অন্যদিকে ভারত, যুক্তরাষ্টে প্রচলিত যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা (Federal Government System) যেখানে একাধিক প্রাদেশিক/রাজ্য সরকার থাকে যারা তাদের নির্ধারিত অঞ্চল পরিচালনা করে এবং তাদের কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব পালন করে থাকে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মত দেশে যেখানে এককেন্দ্রিক সরকার ব্যাবস্থা (Unitary Government System) প্রচলিত সেখানে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত করা হয়। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৫(২) অনুযায়ী আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাপক দায়িত্ব পালন করতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেশের সামগ্রিক নির্বাহী বিভাগ কে পরিচালনা করতে হয়।

এমতাবস্থায় সংবিধান অনুযায়ী ব্যাপক নির্বাহী দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য অত্যন্ত কঠিন কাজ। এজন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য পৃথক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করা আবশ্যক যারা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১(২) অনুযায়ী জনগণের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকবে।

সেহেতু, উক্ত আবেদনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভূ-রাজনীতিক ষড়ষন্ত্র, মায়ানমারের সামরিক উস্কানি মোকাবেলা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলো কে শক্তিশালী করতে পৃথক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।