বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব

বিএনপি নেতা হাবিবুরের সাজা বহাল

আদালত অবমাননা

আদালত অবমাননার দায়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিবকে ৫ মাসের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাবিবের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) ও জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ রোববার (৩ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর আগে আদালত অবমাননার দায়ে হাবিবকে ৫ মাসের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করে গত ২২ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দী হাবিব গত ৮ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল করেন, সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন।

লিভ টু আপিলটি ১১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত লিভ টু আপিলটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ৩ মার্চ শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।

আদালতে হাবিবের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, ‘হাবিবের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এতে হাবিবকে ৫ মাসের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইল। ফলে তাঁকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে এবং জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে হবে।’

হাইকোর্টকে কটূক্তি ও আদালত অবমাননার মামলায় রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গত ২১ নভেম্বর হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে উচ্চ আদালতের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১৫ অক্টোবর হাবিবুরের প্রতি স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল দেন হাইকোর্ট। ব্যাখ্যা জানাতে তাঁকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ধার্য তারিখে তিনি হাজির হননি। গত ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট হাবিবুরকে খুঁজে বের করে অবিলম্বে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেন। গত ২২ নভেম্বর তাঁকে আদালতে হাজির করে শেরে বাংলা নগর থানা-পুলিশ।