খাস কামরায় নয়, বিচারিক আদালতের আদেশ-রায় দিতে হবে প্রকাশ্য আদালতে
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

অবকাশ শেষে খুলেছে সুপ্রিম কোর্ট

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ কোর্টের অবকাশ শেষে খুলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। দীর্ঘ অবকাশ শেষে আজ রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এদিন পুরোপুরিভাবে বিচার কাজে বসেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ। সে হিসেবে দীর্ঘ ২৮ দিন ছুটির পর বিচারপ্রার্থী, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের পদচারণায় মুখরিত হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ।

আজ সকাল ৯টায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতত্বে বসেছে আপিল বিভাগ। আর হাইকোর্টের বেঞ্চগুলোতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে।

অবকাশ শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চেম্বার জজ হিসেবে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমকে মনোনীত করেছেন প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে পরিবর্তন আনা হয়েছে দৈনিক চেম্বার জজের শুনানির সময়সূচিতে।

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আজ থেকে সপ্তাহের প্রতি রবি, সোম ও বুধবার দুপুর আড়াইটা থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে যথারীতি শুনানি গ্রহণ করবেন।

প্রসঙ্গত, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ কোর্টের অবকাশে গত ২২ মার্চ থেকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের উভয় (হাইকোর্ট ও আপিল) বিভাগের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

তবে অবকাশে বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য চেম্বার কোর্টের অবকাশকালীন বিচারক হিসেবে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে মনোনীত করেন প্রধান বিচারপতি।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম গত ২৪, ২৭, ৩১ মার্চ এবং ৩, ৮, ৯ এবং ১৫ এপ্রিল ভ্যাকেশন জজ হিসেবে সকাল ১১টা থেকে শারীরিক উপস্থিতিত মাধ্যমে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে শুনানি গ্রহণ করেন।

অন্যদিকে, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ১১টি অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ৭টি দ্বৈত এবং ৪টি একক বেঞ্চ রয়েছে। গত ২৪ মার্চ থেকে গত ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এসব বেঞ্চে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।