কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে

সনদ বাণিজ্য

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনকে (৫৪) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আসামিকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেন।

এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম।

আর রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ওইদিন আদালতে পুলিশের দেওয়া রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে তিন লাখ টাকা সেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন। এই মর্মে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন এ কে এম শামসুজ্জামান।

গত ২০ এপ্রিল (শনিবার) সেহেলা পারভীন জিজ্ঞাসাবাদে একে এম শামসুজ্জামানের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও পোস্টিং সংক্রান্ত সাড়ে ৫ লাখ টাকার কথা কৌশলে এড়িয়ে যান। সেহেলা পারভীনের স্বামী মো. আলী আকবর খান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার স্বামীর দ্বারা ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি একে এম শামসুজ্জামানকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করেছিল বলে স্বীকার করেন।

সেহেলা পারভীনের সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসামি একে এম শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রত্যাশীদের কাছে বিক্রি করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি সেহেলা পারভীনের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।