সরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্স কর্মীদের সরাসরি নিয়োগ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিনে উন্নীতকরণ এবং অফিস সহায়ক পদে নীতিমালায় স্পষ্টতা চেয়ে অর্থ ও ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার (৫ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মনিরুজ্জামান লিংকন তার ক্লায়েন্ট মোঃ সাইফুল ইসলাম-এর পক্ষে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, আউটসোর্স কর্মীদের কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হলে তারা নিয়মিত হয়রানি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন। এছাড়া, তাদের চাকরি নিরাপত্তা থাকে না এবং তারা রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও প্রত্যক্ষ বন্ধনে যুক্ত হতে পারেন না।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের সংশোধিত বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন নির্ধারিত হলেও, আউটসোর্স নারী কর্মচারীরা এখনো মাত্র ৪৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন, যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক আচরণ।
এছাড়া, ২০২৩ সালের আউটসোর্সিং নীতিমালায় “অফিস সহায়ক” পদটি অন্তর্ভুক্ত না করায় এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। নোটিশে দ্রুত এই বিষয়ের সুষ্ঠু ব্যাখ্যা দাবি করা হয়েছে।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, “আমার মক্কেল ২০১৫ সাল থেকে ভূমি অফিসে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অথচ নীতিমালায় তার পদটি না থাকায় তিনি ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।”
নোটিশপ্রাপকদের সাত (৭) দিনের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায়, বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় নোটিশে।