সম্প্রতি উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৫ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল চেয়ে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এ নোটিশ পাঠান।
সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বিধিমালা লঙ্ঘন করে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়- সৎ, যোগ্য ও মেধাবীদের বাদ দিয়ে এবং পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৫ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের মধ্যে ব্যারিস্টার আল-মামুনের হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের সময়কাল চার বছর দুই মাস। যদিও আইনানুযায়ী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগের ক্ষেত্রে হাইকোর্টে ন্যূনতম পাঁচ বছর প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। ফলে রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ত্রুটিযুক্ত এই নিয়োগ বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৩ এবং বাংলাদেশ ল’ অফিসার (সংশোধিত) আইন ২০০১ এর সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৯, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
আল-মামুন ছাড়াও নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৫ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের মধ্যে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ক্রমিক নাম্বার ৯৯ থেকে ১০৫ পর্যন্ত (১০৪ নং বাদে) ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সন্দেহজনক। কারণ প্রজ্ঞাপনে এদের কারো হাইকোর্টে তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) তারিখ উল্লেখ করা হয়নি। ফলে এ সকল নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা ৫ বছর আছে কি-না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলেও নোটিশে বলা হয়।
একইসঙ্গে নোটিশে সকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ, পদোন্নতি, অপসারণ, প্রশিক্ষণ ইত্যাদিসহ সকল বিষয় পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি স্বাধীন প্রসিকিউশন সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানানো হয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর, বার কাউন্সিল সচিব ও ব্যারিস্টার আল মামুনসহ ১৫ জনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের যথাযথ জবাব দিতে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া।