রাজশাহীর কলেজ ছাত্রী লিজা রহমান, যিনি ২৪শে সেপ্টেম্বর শনিবার নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তিনি মারা গেছেন।
আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের উপদেষ্টা ডা. সামন্তলাল সেন গণমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মি. সেন বলেছিলেন তরুণীটির শরীরের শতকরা ষাট ভাগ অংশই অগ্নিদগ্ধ।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে রাজশাহীর শাহ মখদুম থানায় অভিযোগ জানাতে যান এবং থানা থেকে বের হয়েই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই মিজ রহমান।
শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের এই ছাত্রী গত জানুয়ারি মাসে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। এতদিন তারা রাজশাহীর শহরে ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন।
শনিবার, থানায় গিয়ে ওই তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, কোন পক্ষই তাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছে না। এমন অবস্থায় সংসার টেকাতে পুলিশের সাহায্য চাইছেন তিনি। পুলিশ তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়।
ওসি আরো বলেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুণীটির কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি মামলা করতে চান কিনা।
তরুণীটি জবাবে বলেন, তিনি আরেকটু ভেবে দেখতে চান এবং সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান।
এর পরপরই ব্যস্ত রাস্তায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।