রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ এবং পন্টুনের মধ্যে চাপা খেয়ে পা হারানো দিনমজুর মো. কবিরকে মানসিক ও স্বাস্থ্যগত সব চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচ বাবদ এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (১৫ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ও পূবালী-১২ লঞ্চের মালিকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গত ২৯ মে কবিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়।
গত ১৮ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘এই সংসার চলবে কী করে: লঞ্চের ধাক্কায় পা হারানো কবিরের স্ত্রী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ সংযুক্ত করে নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, রাজধানীর নবাবপুরে বৈদ্যুতিক পাখার দোকানে দিনমজুরের কাজ করতেন কবির হোসেন (২৮)। ঈদুল ফিতরের একদিন আগে ১ মে সকালে স্ত্রী, মেয়ে ও তিন বোনকে নিয়ে সদরঘাটে আসেন কবির হোসেন। ঘাটে পটুয়াখালীর একটি লঞ্চ থাকলেও সেটি কানায় কানায় ভরা থাকায় স্বজনদের নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি।
অপেক্ষার পর পূবালী-১২ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়তে শুরু করে। বেশি গতি থাকায় এটি পন্টুনে এসে জোরে ধাক্কা দেয়। অন্যদিকে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ পন্টুনে। এ সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপ খেয়ে কবির হোসেনের বাঁ পা হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। কেটে ফেলতে হয় বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ।