ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দালাল প্লাস গ্রাহকদের পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা এক কোটি উনচল্লিশ লক্ষ টাকা ফেরত চেয়ে রিট হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
দালাল প্লাসের ৪১ জন গ্রাহকের পক্ষে মঙ্গলবার (২৮ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লব।
দালাল প্লাস বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা ও অর্থ পাচার উল্লেখ করে রিটে বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যংকের গর্ভনর, নগদ, বিকাশ, এস এস এল কমার্স, সূর্য পে পেমেন্ট গেটওয়েসহ ১৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট দায়ের করার বিষয়টি আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লব নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দালাল প্লাস এর গ্রাহক মোরশেদ নোমান সহ ৪১ জন গ্রাহক গতবছর মে, জুন, জুলাই মাসে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ের জন্য টাকা পরিশোধ করে এখন সর্বশান্ত। টাকা পরিশোধ করলেও পণ্য সরবরাহ না করায় ৪১ জন গ্রাহকের এক কোটি উনচল্লিশ লক্ষ টাকা পেমেন্ট গেটওয়ে এস এস এল এবং সূর্য পে এর একাউন্টে আটকে আছে।
আইনজীবী হুমায়ূন কবির বলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী কোন ই কমার্স প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে পরিশোধিত অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গ্রাহকগণ অনেক চেষ্টা করেও উক্ত টাকা ফেরত না পেয়ে আইনের দ্বারস্থ হন।
গত কয়েক বছরে এ প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লষ্টি দপ্তরগুলোর কার্যকর নজরদারীর অভাবের সুযোগে গ্রাহক আকর্ষণে বিভিন্ন অনৈতিক অফার, ডিসকাউন্ট নামে গ্রাহকদের প্রলুদ্ধ করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে বলেও জানান রিটকারী পক্ষের আইনজীবী।
রিট আবেদনে দালাল প্লাসের এ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে তদন্তসহ গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এর আগে টাকা ফেরত চেয়ে বিবাদীদের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। লিগ্যাল নোটিশের জবাব না পেয়ে ভুক্তভোগী নোটিশ প্রেরণকারী গ্রাহকদের সমুদয় টাকা ফেরত প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।