আদালতের নির্দেশে ‘র‌্যাগ ডে’ পালনের নামে অশ্লীলতা বন্ধে ইউজিসি'র নির্দেশনা

আদালতের আদেশে ‘র‍্যাগ ডে’ পালনের নামে অশ্লীলতা বন্ধে ইউজিসি’র নির্দেশনা

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র‌্যাগ ডে’ পালনের নামে ডিজে পার্টিসহ নগ্ন, অশ্লীল, উন্মত্ত, কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের ওই নির্দেশ অনুযায়ী দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এরূপ কর্মকান্ড অবিলম্বে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে গত রোববার (৩ জুলাই) ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুক সই করা এ সংক্রান্ত স্মারক দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করা হয়।

এতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট পিটিশনের আদেশে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র‌্যাগ ডে’ উদযাপনের নামে সকল ধরণের অশ্লীলতা, নগ্নতা, ডিজে পার্টি, অশোভন আচরণ, নিষ্ঠুর ও নিষিদ্ধ কর্মকান্ড এবং বুলিং অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এরূপ কর্মকান্ড অবিলম্বে বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হলো বলে স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল ‘র‌্যাগ ডে’ পালনের নামে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টিসহ নগ্ন, অশ্লীল, উন্মত্ত, কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর কর্মকাণ্ড বন্ধে ৩০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শিক্ষাসচিব, তথ্যসচিব, সংস্কৃতিসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

একইসঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘র‌্যাগ ডে’ পালনের নামে ডিজে পার্টিসহ নগ্ন, অশ্লীলতা, কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর কর্মকাণ্ড বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

শিক্ষাসচিব, তথ্যসচিব, সংস্কৃতিসচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১৩ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান রিটটি করেন। আদালতে তিনি নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।