আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে নীতিমালা করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এছাড়া ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় নিয়ে গাজীপুরের আলী আজম ও শরীয়তপুরের সেলিম রেজাকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, সেটাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশর আইজি, আইজি প্রিজনসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ২৪ জানুয়ারি কারাগারে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের প্যারোলে মুক্তি দিয়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজা বা কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়ে আসার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
বিএনপির আইন সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের পক্ষে জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান সুজা।
আরও পড়ুন : ডান্ডাবেড়ি-হাতকড়ার অপব্যবহার বন্ধে সরকারকে ১০ আইনজীবীর নোটিশ
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সম্প্রতি আমরা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখেছি কারাগারে থাকা রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে তাদের নিকটাত্মীয়র জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
প্যারোলে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় নিয়ে আসা হয়েছে। এটা অমানবিক। আমাদের সংবিধানও এটা সমর্থন করে না। এ কারণে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জানাজায় নিয়ে আসার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ রিট করা হয়েছে বলে জানান রিটকারী।