বর্তমানে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতগুলো চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলা হলো ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬০টি এবং ফৌজদারি মামলা ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০টি।
জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে সোমবার (৫ জুন) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকএ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অধস্তন আদালতগুলো চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলা হলো ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬০টি এবং ফৌজদারি মামলা ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০টি।
আইনমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩টি মামলা চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে ২ লাখ ৭১ হাজার ৬০৬ মামলা চলমান। সর্বনিম্ন খাগড়াছড়িতে ৬ হাজার ৬৩০ টি মামলা চলমান রয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সরকার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে সারা দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
৫৪টি বেঞ্চে ৯৮ জন বিচারক
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনটি বেঞ্চ এবং হাইকোর্ট বিভাগে ১৮টি একক ও ৩৩টি দ্বৈত বেঞ্চ কাজ করছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগে মোট ৫৪টি বেঞ্চে ৯৮ জন বিচারক বিচারকাজ পরিচালনা করছেন। এতে পাঁচ লাখের বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো গেলে বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে।